রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমুদ্রের গভীরে ৩০টি নতুন প্রজাতির সন্ধান, অবাক বিজ্ঞানীরা

ডেস্ক নিউজ : ‘গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ’ নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নীল সমুদ্রের সীমাহীন জলরাশির ছবি। বেশ কিছু আগ্নেয় দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এটি একটি দ্বীপপুঞ্জ।

প্রশান্ত মহাসাগরের বিষুব রেখার দুই পাশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই দ্বীপগুলো মহাদেশীয় ইকুয়েডর থেকে ৯৭২ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। বর্তমানে এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে, মূলত তার অনন্য সাধারণ জীববৈচিত্র্যের কারণে।

ইকুয়েডরের গালাপাগোস প্রদেশের অন্তর্গত এবং দেশটির জাতীয় পার্ক সিস্টেমের অংশ। এই দ্বীপপুঞ্জের মানুষদের প্রধান ভাষা স্পেনীয়।

দ্বীপগুলোতে প্রচুর এন্ডেমিক তথা বিরল প্রজাতি আছে। এই প্রজাতিগুলো গালাপাগোস ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। শুধু তাই নয়, বিবর্তন তত্ত্বের জনক চার্লস ডারউইন তার বিগল ডাত্রার সময় এই দ্বীপে এসেছিলেন।

এবার অপার সৌন্দর্যে ভরা এই দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৩০ টি বিরল প্রজাতির প্রাণের সন্ধান আবিষ্কার করেছেন একদল সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।

এই বিষয়ে ইকুয়াডোরা দ্বীপপুঞ্জের জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন যে, গালাপাগোসের চারপাশের গভীর জলে ৩০ টি নতুন প্রজাতির ইনভারটেট্রেটস আবিষ্কার করেছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। গভীর সমুদ্র থেকে বিশেষজ্ঞরা ১০টি বাঁশের প্রবাল, চারটি অষ্টকোষ, একটি সহ ভঙ্গুর প্রবাল এবং স্পঞ্জ গোত্রীয় জিনিসের আবিষ্কার করেছেন। এছাড়াও ভঙ্গুর তারকা এবং ১১ টি স্পঞ্জ পাশাপাশি স্কোয়াট-লবস্টার্স নামে পরিচিত চারটি নতুন প্রজাতির ক্রাস্টাসিয়ান লবস্টার্সের আবিষ্কার করেছেন তারা।

“এই আবিষ্কারগুলোর মধ্যে ক্রান্তীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশালাকার একাকী একটি নরম প্রবাল রয়েছে। কাঁচের মতো স্বচ্ছ স্পঞ্জের একটি নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেটি প্রস্থে এক মিটারেরও বেশি।

গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে সিডিএফের বিজ্ঞানীরা জাতীয় উদ্যান অধিদফতর এবং ওশান এক্সপ্লোরেশন ট্রাস্টের সহযোগিতায় অত্যাধুনিক রিমোট অপারেটেড জিনিসপত্র(আরওভি) ব্যবহার করে ৩,৪০০ মিটার গভীরতায় গভীর সমুদ্রের বাস্তুসংস্থান অনুসন্ধানে নেমেছিলেন। আর সেখান থেকেই বিরল ৩০টি প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ইকুয়েডর থেকে ১০০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জটি। এটি একটি ভঙ্গুর বাস্তুসংস্থান। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতির বৃহত্তম সংখ্যক জীবেরা আশ্রয় নেয়। শুধু তাই নয়, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয় এই জায়গাটি।

এই বিভাগের আরো খবর